গাজীপুরের মনিপুর বিটে তদন্ত শেষ হতে না হতেই আবারও দখল বাণিজ্য
ঘটনার আড়ালে প্রতিবেদন : গাজীপুরের মনিপুর বিটে বনভূমি দখল আবার শুরু হয়েছে। গোপনে দেওয়া হচ্ছে স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ।
ঢাকা বন বিভাগের রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের এই বিট আগে থেকেই দখলপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। সেখানে বাণিজ্যও হয় বেশ।
গত ৫ আগস্টের পর বিটটিতে বনভূমি দখল ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। এ নিয়ে ঘটনার আড়ালে-তে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তৎপর হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : গাজীপুরের মনিপুর বিটে গাছ কেটে বন উজাড়, ‘আপস দখল’ জমজমাট
বন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের উপ-বন সংরক্ষক ড. আবদুল আউয়াল গত ৩১ জানুয়ারি সরেজমিনে তদন্ত করেন। চলছে উচ্ছেদ অভিযানের প্রক্রিয়া। এসবের মধ্যেই কয়েকটি স্থানে নতুন স্থাপনা গড়ে উঠছে।
সরেজমিনে জানা যায়, মনিপুর উত্তরপাড়া এলাকায় সিএস ৪৯২ নং দাগের প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন আবদুল আজিজ। বাড়িটির ছাদ ঢালাই সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।
এই দখল প্রতিরোধে বিট অফিস কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো স্থানীয় এক সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছর একই দাগের প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি দখল করে তিন রুমের পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন লোকমান হোসেন। সাবেক রেঞ্জ কর্মকর্তা জুয়েল রানা প্রথমে কাজ বন্ধ করলেও তখন চলতি দায়িত্বে থাকা সালনা বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর রহমান চৌধুরীর সহযোগিতায় কাজ সম্পন্ন হয়।
মনিপুর উত্তরপাড়া থেকে ভৌড়াঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প রাস্তার পাশে প্রায় ১০ শতাংশ বনভূমি দখল করে পাকা বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে। বাড়িটি করছেন স্থানীয় কাশেম আলী। বিট অফিস দখল প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
নয়াপাড়া এলাকার কেমিকন কারখানার মালিক মো. ইয়ামিন তাদের পূর্ব পাশের বাউন্ডারি ওয়াল সংলগ্ন ৫ শতাংশ বনভূমি কিনে তরল বর্জ্যরে গভীর হাউজ নির্মাণ করেছেন। কাজ চলা অবস্থায় গত নভেম্বরে বিষয়টি ঘটনার আড়ালের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলেও বিট ও রেঞ্জ অফিস দখল প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
বনভূমিতে নির্মিত সাম্প্রতিক স্থাপনাগুলোর বিষয়ে মনিপুর বিট কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। কিন্তু গত প্রায় এক মাসেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : গাজীপুরের মনিপুর বিটের ‘৫ জনকে বদলির পরও’ বন দখল থামছে না!