কালিয়াকৈরের রঘুনাথপুর বিটে বনের মাটি কাটা বন্ধ, ৩টি মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের কালিয়াকৈর রেঞ্জের রঘুনাথপুর বিটে জোতের সঙ্গে বনভূমির মাটি কাটার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে বন বিভাগ।
খননাধীন খামার তিনটির মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়ের করা হয়েছে তিনটি মামলা।
এর আগে বিষয়টির ওপর ঘটনার আড়ালে-তে একাধিক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তৎপর হয় বন বিভাগ।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কাঁথাচোরা এলাকার বঙ্গবাজারের পশ্চিমে গজারি বন ঘেঁষে মাছ চাষের জন্য খামার খনন করা হচ্ছিল। মাটি কিনে ব্যবসা করছিল যুবলীগ নেতা রুবেল চক্র।
এর দক্ষিণ দিকে নয়াপাড়া নবজাগরণ ক্লাবের পশ্চিম পাশে হাসেম মিয়ার কাছ থেকে মাটি কিনে ব্যবসা করছিলেন নূরুল ইসলাম। খামার বড় করার উদ্দেশে শতাধিক আকাশনি গাছও তুলে ফেলে মাটি কাটা হয়।
এই স্পটের দক্ষিণ দিকে বন ঘেঁষে খামার খনন করছিলেন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। ধসে পড়ার ঝুঁকিতে পড়ছিল সংলগ্ন বন।
তাদের কারও ডিমারকেশন ও জমির শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রশাসনের অনুমতি নেই। ভেকু দিয়ে জোতের সঙ্গে বনভূমির মাটি কেটে কতগুলো ডাম্প ট্রাকযোগে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছিল।
ঘটনার আড়ালে-তে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তদন্তে বনের মাটি কাটা ও ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা মেলে। এরপর বিট কর্মকর্তা মো. শাহজালাল বাদী হয়ে বন আইনে তিনটি মামলা করেন।
এর মধ্যে সোনাতলা এলাকার নূরুল ইসলামকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। নয়াপাড়া এলাকার হাসেম মিয়ার স্পটে কর্তনকৃত প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বনভূমির একাংশে কিছু চারাও রোপণ করেছে বিট অফিস।
একটি মামলায় প্রায় পৌনে ৭ শতাংশ বনভূমি জবর দখল করে মাটি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণের তথ্য উল্লেখ রয়েছে। জব্দকৃত মাটির পরিমাণ দেখানো হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার ঘনফুট।
স্থানীয়রা জানান, নূরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বনের ক্ষতিসাধন করে মাটির ব্যবসা করছেন। স্পটগুলোর ডিমারকেশন হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি পাওয়া যাবে।