গাজীপুরে বন গবেষণার বনভূমি দখল : রেঞ্জারের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
সাপ্তাহিক ঘটনার আড়ালের প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে গত ১৯ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘গাজীপুরে কারখানার রাস্তার জন্য বন গবেষণার বনভূমি দিলেন রেঞ্জ কর্মকর্তা বাশার’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশার একটি প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়, উত্তর সালনা মৌজার সিএস ৩২৩ নং দাগের ভূমি ইতিপূর্বে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জাল-জালিয়াতি করে জবর দখলের চেষ্টা করেন। সরকারি বনভূমি রক্ষার্থে চারদিকে সীমানা পিলার এবং আরসিসি পিলার দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয় ভূমিদস্যুদের উক্ত ভূমিতে প্রবেশে বাধা প্রদান করায় তারা কাল্পনিক ও অসত্য তথ্য প্রদান করে পত্রিকায় প্রতিবেদনটি ছাপায়। তার জানামতে উক্ত দাগের পাশে কোন প্রকার কারখানা ও সুফল বাগানের অস্তিত্ব নেই। প্রতিবেদনটি সঠিকভাবে উত্থাপন না হওয়ায় তিনি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য :
উত্তর সালনা মৌজার উক্ত দাগের পাশে কয়েক বিঘা জমি কিনেছে ফ্রেশ গ্রুপ। মালিক প্রস্তাবিত কারখানাটির একটি শেড নির্মাণ করেছেন। গাড়ি চলাচলের জন্য সম্প্রতি সংরক্ষিত ৩২৩ নং দাগের বনভূমির ওপর দিয়ে মাটি কেটে ও মাটি ভরাট করে ১০ ফুট প্রস্থের রাস্তা করা হয়েছে।
অন্তত ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি করার সুযোগ দেওয়ায় সাড়ে তিন শতাংশ মূল্যবান বনভূমি বেহাত হয়েছে। রাস্তা করার আগে অভিযুক্ত কর্মকর্তা রাস্তার জন্য বনভূমি বাদ দিয়ে খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন।
যে রাস্তাকে কেন্দ্র করে ঘটনার আড়ালের সচিত্র প্রতিবেদন, সেই রাস্তা সম্পর্কে প্রতিবাদলিপিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশার একটি শব্দও উল্লেখ করেননি। ভূমিদস্যুদের উক্ত ভূমিতে প্রবেশে বাধা প্রদান করার কথা বলা হলেও শুধু প্রবেশ নয়, তিনি রাস্তার কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া বনভূমি দখল করে তৈরি রাস্তাটি দক্ষিণ দিক হয়ে মাস্টারবাড়ি-কাউলতিয়ার যে রাস্তার সঙ্গে মিশেছে, সেই সংযোগের অংশ সুফল প্রকল্পের বাগানের সামনের অংশ। তাই বাগানের অস্তিত্ব না থাকার দাবি চরম মিথ্যাচারের নামান্তর।
আলোচিত প্রতিবেদনটি বনজ সম্পদ রক্ষার উদ্দেশে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে কাল্পনিক ও অসত্য তথ্যের লেশমাত্র নেই। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বাস্তবতার নিরিখে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন-এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।