কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোহরার মাসুদের নকল বাণিজ্য, মাসে আদায় ৩ লাখ!
ঘটনার আড়ালে প্রতিবেদন : গাজীপুরের কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী মাসুদ রানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক নকল বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাসুদ রানা চৌধুরী কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মোহরার। তিনি আগে জেলার কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছিলেন। সেখান থেকে অনিয়মের অভিযোগে দেড় বছর আগে তাকে কাপাসিয়ায় বদলি করা হয়।
কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোহরার আছেন দুজন। তাদের মধ্যে মাসুদ রানা চৌধুরীকে জমির দলিলের নকল সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পেয়েই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আগে দলিলের নকলের ফি ছিল ৮০০ টাকা। মাসুদ রানা চৌধুরী কাপাসিয়ায় যোগদানের পর ২২০ টাকা বাড়িয়ে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২০ টাকা।
এই এক হাজার ২০ টাকা থেকে সরকারি খাতে জমা হয় ৩০০-৪০০ টাকা ও নকলনবিশরা পান ১০০-২০০ টাকা। বাকি টাকা যায় মাসুদ রানা চৌধুরীর পকেটে।
হিসাব করে দেখা গেছে, কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দৈনিক অন্তত ৩০টি নকল সরবরাহ করা হয়। মাসুদ রানা চৌধুরী গড়ে নকলপ্রতি ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন হাতিয়ে নেন ১৫ হাজার টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় কমপক্ষে তিন লাখ টাকা।
দলিল লিখকরা জানান, মাসুদ রানা চৌধুরী সাব-রেজিস্ট্রারের প্রশ্রয়ে দাপট দেখিয়ে ঘুষ বাণিজ্য করছেন। তাকে অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে নকল তোলা যায় না। এতে সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
এ ছাড়া কোন জমি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক দেওয়া আছে কি না, এ সংক্রান্ত অনাপত্তি দেওয়ার কাজও করেন মাসুদ রানা চৌধুরী। এ জন্য তাকে দেড় হাজার টাকা থেকে দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করে দিতে হয়।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মোহরার মাসুদ রানা চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।