গাজীপুর সদর ভূমি অফিসে ফাইল আটকে সার্ভেয়ারের ২ লাখ টাকা ঘুষ দাবি!
ঘটনার আড়ালে প্রতিবেদন : গাজীপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার অলি উল্লাহর বিরুদ্ধে ফাইল আটকে ঘুষ দাবি ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সার্ভেয়ার অলি উল্লাহ ২০২৩ সালের শেষের দিকে গাজীপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসে যোগদান করেন। তিনি প্রথমে ভালো সেবা দিলেও ধীরে ধীরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। অফিসের ভেতরে থাকা উমেদার ও বাইরের ব্যক্তিদের মাধ্যমে চলে লেনদেন।
সদর উপজেলার মাহনা ভবানীপুর মৌজায় জোত জমির সঙ্গে সরকারি জমি থাকায় সীমানা নির্ধারণের জন্য ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর আবেদন করে সিয়াম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরে প্রতিবেদনের জন্য তা সদর উপজেলা ভূমি অফিসে পাঠানো হয়।
দায়িত্ব পেয়ে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাবেক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলিম ডিমারকেশন অনুমোদনের সুপারিশ করে ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নম্বর ৭৯২ ও সীমানা নির্ধারণী মোকদ্দমা নম্বর ৩৪/২৪।
এরপর সার্ভেয়ার অলি উল্লাহর তত্ত্বাবধানে আবেদনকারী পক্ষকে গত বছরের ২ মে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। শুনানি নিয়ে তখনকার এসিল্যান্ড রাফে মোহাম্মদ ছড়া সার্ভেয়ারকে স্ক্যাচ ম্যাপ দাখিলের নির্দেশ দেন।
পরে সার্ভেয়ার অলি উল্লাহ সরেজমিনে গিয়ে মাপজোখ করেন। কিন্তু গত এক বছরেও স্ক্যাচ ম্যাপ প্রস্তুত করে দাখিল করা হয়নি। তিনি ওই মৌজার স্থানীয় এক সার্ভেয়ারের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় ফাইল আটকে রাখা হয়েছে।
আবেদনকারী পক্ষ জানায়, তারা সার্ভেয়ার অলি উল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘হচ্ছে, হবে’ বলে হয়রানি করা হচ্ছে। তার পক্ষে দুই লাখ টাকা দাবি করা ব্যক্তি বলছেন, টাকা আগে দিতে হবে। কাজ পরে হবে।
তারা আরও জানান, সব ঠিক থাকার পরও ডিমারকেশনটি অনুমোদন না হওয়ায় নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। সাফারি পার্ক রোডের জন্য অধিগ্রহণকৃত অংশের ক্ষতিপূরণের বিলও উত্তোলন করা যাচ্ছে না। সার্ভেয়ারকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি পাত্তা দেননি।
এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার অলি উল্লাহর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার আড়ালে-কে বলেন, সিয়াম প্লাস্টিকের কেউ যোগাযোগ করে না। তাদের দলিলের এসএ দাগে সমস্যা আছে।