গাজীপুরে বন বিভাগকে ম্যাকডোনাল্ডের বৃদ্ধাঙ্গুলি!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকায় সংরক্ষিত বনের ভেতর দিয়ে কারখানার গাড়ি চলছেই।

গত ৬ ও ১৯ নভেম্বর আলোকিত নিউজ ডটকমে দুটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর দুটি খুঁটি গেড়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলাম গত ২২ নভেম্বর এফডি লেখা সংবলিত ‘গাড়ি প্রবেশ নিষেধ’ উল্লেখ করে খুঁটি দুটি গাড়েন।

কিন্তু এক দিন পার না হতেই একটি খুঁটি উঠিয়ে বনের মধ্যে ফেলে দিয়ে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইভেটকার চলাচল শুরু হয়।

এরপর ঘটনাটি প্রকাশ্যে চললেও আর কোন ব্যবস্থা নেননি বিট কর্মকর্তা। ঘটনাস্থল কাছে থাকলেও নীরব রয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম।

এর আগে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশের পর কারখানার কর্মচারী নিয়ে রাস্তা থেকে ইট-সিমেন্টের বেশ কিছু খোয়া ও বড় বড় খন্ড বনের ভেতরে ফেলে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালান বিট কর্মকর্তা।

বনের ক্ষতি ও প্রায় এক বিঘা বনভূমি বেহাতের এ ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

ঘটনা যা : ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পশ্চিমে নান্দুয়াইন এলাকায় বনের বুক চিরে তৈরি করা হয়েছে ১০ ফুট প্রস্থের রাস্তা। গজারি বনের পর রাস্তাটি আকাশমনি বাগানের বুকও ভেদ করেছে। সম্প্রতি তা আধা পাকা করা হয়।

আধা কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পায়ে হাঁটার এই রাস্তা মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচলের জন্য প্রথম সম্প্রসারণ করে ম্যাকডোনাল্ড কীটনাশক কারখানা। পরে তাদের সাথে যুক্ত হয় পাশের চায়না ব্যাটারি ও এশিয়ান পেইন্টসের কাঁচামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।

ম্যাকডোনাল্ডের একমাত্র দক্ষিণ দিকে কিছু বসতি। তারা দক্ষিণ-পূর্ব পাশের হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশ দিয়ে ও পশ্চিম দিক দিয়ে চলাফেরা করেন। বনের ভেতরের রাস্তা দিয়ে তিনটি কারখানার গাড়ি দিন-রাত চলাচল করছে।

এ ছাড়া ম্যাকডোনাল্ড বনভূমি দখল করে কারখানায় প্রবেশের রাস্তা করেছে। পাশের আকাশমনি বাগানের অংশীদারও মালিক সরোয়ার কামাল।

আরও খবর

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker