গাজীপুরে অবৈধ মর্ডান ফিড মিলে ভেজালের দাপট!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে অবৈধ মর্ডান ফিড মিলে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত চলছেই।

জেলা সদরের বাঘের বাজারের পূর্ব দিকে শিরিরচালা এলাকায় সাইনবোর্ডবিহীন কারখানাটি অবস্থিত।

ঘটনাটি নিয়ে আলোকিত নিউজ ডটকমে ইতিপূর্বে দুটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিএফ জাহিদুল কবির গত ৯ অক্টোবর গেজেটভুক্ত বনভূমি দখলের ঘটনা তদন্ত করেছেন।

এতে কারখানাটির ডিমারকেশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার বিষয়টি ওঠে আসে।

এরপর কিছুদিন উৎপাদন গোপনে চললেও এখন দিন-রাত দেদারসে চালাচ্ছেন মালিক আবদুল মজিদ।

সরেজমিনে জানা যায়, মর্ডান ফিড মিলে দৈনিক শত শত বস্তা মুরগি ও গরুর খাদ্য উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে মুরগির খাদ্যপণ্য দুটি। গ্রোয়ার ও স্টার্টার। আর গাভি ও ষাঁড়ের চারটি।

কারখানাটির অনুমোদন নেই। এটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে চলছে। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আবেদন করলেও অদ্যাবধি কোন অনুমোদন পায়নি।

কারখানাটিতে বেশ কয়েকটি কোম্পানির নামে পণ্য উৎপাদন হয়। শ্রেষ্ঠ ফিড, নিউ পোলট্রি ফিড, চয়েস ফিড, এগ্রো সোল্ড, হাজী ফিড, মনোয়ারা ফিড, সৃষ্টি ফিড ও প্রোটিন প্লাস। পণ্যগুলো বস্তায় ভরে বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।

পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য কারখানায় অত্যাবশ্যকীয় ল্যাবও নেই। দোতলায় একটি রুমে কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও কেমিস্ট নেই। ফলে কোন পণ্যেরই মান নির্ণয় হচ্ছে না।

এ ছাড়া পণ্যগুলো বায়ু নিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াই বস্তায় ভরা হয়। বস্তার গায়ে কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন নম্বর, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের নিবন্ধন নম্বর, আদর্শ মাত্রা এবং উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতাও মানা হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মর্ডান ফিড মিল আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছে না। এখানে উৎপাদিত পণ্যগুলো ভেজাল ও নকল। এসব ছড়িয়ে পড়ায় ঝুঁকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। তাই প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে কারখানার মালিক আবদুল মজিদের সাথে আবারও যোগাযোগ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আলোকিত নিউজকে বলেন, আপনারা যা পারেন করেন।

আরও খবর

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker