গাজীপুর পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ বাণিজ্য রমরমা

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবার নামে অবাধে চলছে ঘুষ বাণিজ্য।

কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

সরেজমিনে জানা যায়, গাজীপুর পাসপোর্ট অফিসে নানাভাবে ঘুষ আদায় করা হয়। বর্তমান সহকারী পরিচালক মোরাদ চৌধুরীর যোগদানের পরও চিত্র পাল্টেনি।

পাসপোর্ট অফিসকে ঘিরে রয়েছে দালাল চক্র। দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসনের অভিযান না চলায় দৌরাত্ম্য থামছে না।

কয়েকজন দালাল ট্যাংকির পাড় মোড়ের টেন্যান্সি ভবনের নিচ তলা, চতুর্থ তলা ও আশপাশে চেম্বার খুলে বসেছে। টাকা দিলে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট করে দেয়-এমন অভিযোগও আছে একজনের বিরুদ্ধে।

পাসপোর্ট অফিসের নিচ তলায় কাউন্টার। সেবাপ্রার্থীরা সেখানে আবেদন জমা দিতে গেলে নানা ত্রুটি ধরে ফেরত দেওয়া হয়।

পরে আবেদনকারীরা দালালদের কাছে যান। তাদের দাবিকৃত টাকা দিলেই বিশেষ সংকেত ব্যবহারের মাধ্যমে আবেদন গৃহীত হয়।

দালালরা অফিসে দেয় এক হাজার টাকা। আবেদন ফরম পূরণ ও ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে নেয় ৫০০-১০০০ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অফিসের কর্মচারীরা এক হাজার টাকা থেকে ১০০ টাকা করে রেখে বাকি ৯০০ টাকা দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে জমা দেন। পরে তা ভাগ-বাটোয়ারা হয়।

করোনার প্রেক্ষাপটে এখন দৈনিক ১০০-১৫০টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে কিছু গ্রহণ করা হয় বিনা টাকায়।

সে হিসাবে আবেদনগুলো থেকে দৈনিক আদায় হয় লক্ষাধিক টাকা। যা মাসে দাঁড়ায় অন্তত ২২ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে এডি মোরাদ চৌধুরীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি অফিসে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

দালাল প্রসঙ্গে বলেন, আপনারা মানুষকে তাদের খালুদের টাকা না দিতে সতর্ক করেন। আমি এক দালালকে পিটিয়েছি।

আরও খবর

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker