গাজীপুরে ‘কারখানার রাস্তার জন্য’ বন গবেষণার বনভূমি দিলেন রেঞ্জ কর্মকর্তা!

ঘটনার আড়ালে প্রতিবেদন : গাজীপুরে একটি প্রস্তাবিত শিল্প প্রতিষ্ঠানকে গোপনে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বনভূমি দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে দখল পোক্ত করার তোড়জোড়।
বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গাজীপুর কেন্দ্রের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারি সম্পদ বেহাতে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ।
সরেজমিনে জানা যায়, নগরীর পোড়াবাড়ী এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিমে উত্তর সালনা মৌজা। সেখানকার গরুর মাঠ নামক স্থানে কয়েক বিঘা জমি কিনেছে ফ্রেশ গ্রুপ। ইতিপূর্বে নির্মাণ করা হয়েছে একটি শেড।
প্রস্তাবিত কারখানায় গাড়ি চলাচলের কোন রাস্তা নেই। দক্ষিণ দিক দিয়ে বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সংরক্ষিত বনভূমি। পাশে জোতভূমি থাকলেও কেউ বিক্রি করছেন না।
এই অবস্থায় শিল্পপতির পক্ষ থেকে রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে দর-কষাকষি করে তিনি সিএস ৩২৩ নং দাগের বনভূমির ওপর দিয়ে ইটের সলিং নির্মাণের অনুমতি দেন।
অনুমতি পেয়েই মাটি কেটে ও মাটি ভরাট করে ১০ ফুট প্রস্থের রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য অন্তত ১৫০ ফুট। এর ফলে সাড়ে তিন শতাংশ মূল্যবান বনভূমি বেহাত হচ্ছে। ঝুঁকিতে পড়েছে সুফল প্রকল্পের বাগান। রাস্তার অংশ বাদ দিয়ে খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়াও দিয়েছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা।

সুফল বাগানের সামনের অংশ দখল

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরে প্রতিষ্ঠানটির অধিকৃত বনভূমি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কর্মতৎপরতা কম। ওই রাস্তা বহাল হলে বনজ সম্পদের অনেক ক্ষতি হবে।
তারা আরও জানান, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গাজীপুর কেন্দ্রের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশার অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। তিনি আট বছর ধরে গাজীপুরে আছেন। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফ্রেশ গ্রুপের কাউকে পাওয়া যায়নি। রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বে থাকা সবদুল নামের এক ব্যক্তি মোবাইলে মামুন নামের এক সাংবাদিকের দোহাই দেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশার ঘটনার আড়ালে-কে বলেন, রাস্তাটি জনগণ মিলে নিজেদের জমি দিয়ে করছে। তিনি এখনো দেখেননি। সরকারি স্বার্থ দেখার জন্য স্টাফদের বলেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button