কাপাসিয়ায় নদের মাটি কেটে দেদারসে ইটভাটায় বিক্রি, প্রশাসন নীরব
ঘটনার আড়ালে প্রতিবেদন : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদের মাটি লুট করে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। ঘটনাটি জেনেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, নদের তীর রক্ষা এবং সেচ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে খনন প্রকল্প নেয় সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী খননকারী প্রতিষ্ঠান নদের ড্রেজিং করে মাটি দুই পাড়ে স্তূপাকারে রাখে। এই মাটি বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ। তবে জনহিতকর কাজ যেমন স্থানীয় রাস্তা, খেলার মাঠ, ঈদগাহ মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থানের উন্নয়নে জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে উত্তোলিত মাটির একটি অংশ নেওয়া যায়।
সনমানিয়া ও আশপাশের এলাকায় বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। চলতি মৌসুমে মাটির চাহিদাও বেশি। এই সুযোগে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি নদের খননকৃত মাটি লুট করে ইটভাটা মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন।
এলাকাবাসী জানান, চরসনমানিয়া কদমতলী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশের অংশ থেকে গত দুই মাস ধরে ব্যাপক মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। রাত ১১টা বাজলেই ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়া শুরু হয়। প্রশাসন কখনো অভিযান চালায়নি।
মাটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম, বাছেদ মিয়া, মোবারক হোসেন, মাসুদুল আলম, আবুল হাসেম হাসি, মঞ্জুর হোসেন, জামাল উদ্দিন ও আল-আমিন। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি কাটছেন বলে প্রচার দিচ্ছেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, যেদিন বেশি মাটি কাটা হয়, সেদিন ড্রাম ট্রাক থাকে অর্ধশত। দস্যুরা সরকারের বিপুল পরিমাণ মাটি লুট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে সদ্য বদলি হওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।