কাপাসিয়া কলেজে লুটপাট : কিছুই করলেন না এডিসি!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজে লুটপাটে আখের গুছিয়ে অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ চলে যাচ্ছেন আমেরিকা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি তার ছুটি মঞ্জুর করেছেন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

গত বছরের ৪ এপ্রিল অনিয়মসহ প্রশাসনিক অদক্ষতা এবং কলেজ পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য মো. ছানাউল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার নির্দেশনা দিয়ে অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর এক বছর পার হলেও কোন ব্যবস্থা নেননি দুজন অ্যাডহক সভাপতি। বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারসহ সীমানা চিহ্নিত ও প্রাচীর বা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সুপারিশও বাস্তবায়ন হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মোতাহার হোসেন মোল্লা কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম হয়। এ নিয়ে দৈনিক অন্যদিগন্তে লেখালেখি হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গভর্নিং বডি ভেঙে দেয়। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। পরে আবারও সংবিধি লঙ্ঘন করে তাকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করা হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ১৪-এর (ক) অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি কলেজের স্বার্থবিরোধী বা সুনাম নষ্টমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে সেই ব্যক্তি গভর্নিং বডিতে থাকার অযোগ্য।

বিতর্কিত মোতাহার হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে কলেজের জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তেই প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে মোতাহার কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন করে। দায়িত্ব পেয়ে তিনি কলেজ পরিদর্শন করেন। প্রথম সভায় গত তিন বছরের আয়-ব্যয়ের অডিটের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।

তখন জানতে চাইলে এডিসি আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তের বিষয়টি জানি না। আমাকে কেউ কোন কাগজপত্র দেয়নি। আমি অল্প সময়ে সীমানা চিহ্নিত করে কাঁটা তারের বেড়া দেব।

সর্বশেষ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সীমানা চিহ্নিত ও কাঁটাতারের বেড়ার কোন কাজ হয়নি। অডিট নিয়েও আর কোন আলোচনা নেই। ২০১২-২০১৩ সালের অডিটে প্রায় এক কোটি টাকার তথ্য গোপন করা হয়েছে। সে হিসাবে গত তিন বছরে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাত করা হতে পারে।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ দাবি করেন, হাইকোর্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠির কার্যকারিতা দুবার ছয় মাস করে এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন। তবে তিনি রিটের কাগজপত্র বা রিট নম্বর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

আরও খবর

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker