কাপাসিয়া কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি : মোল্লা বহাল!

আলোকিত প্রতিবেদক : কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ অবশেষে শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ৪ এপ্রিল অ্যাডহক কমিটির সভাপতি বরাবর পাঠানো চিঠিতে অনিয়মসহ প্রশাসনিক অদক্ষতা এবং কলেজ পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য অনতিবিলম্বে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে মো. ছানাউল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদের আদেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস চিঠিটি পাঠান।

এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের সংবিধি লঙ্ঘন করে পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লাকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করেছে।

যার বিরুদ্ধে কলেজের জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ১৪-এর (ক) অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি কলেজের স্বার্থবিরোধী বা সুনাম নষ্টমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করলে সেই ব্যক্তি গভর্নিং বডিতে থাকার অযোগ্য।

ফলে দুই অভিযুক্তের একজনকে কৌশলে বহাল রাখার ঘটনায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে যা বলা হয় :

১. মোতাহার হোসেন মোল্লা ২০০৭ সালে ৭৩৯০ নং দলিলে কলেজের এসএ ৪৫৫ ও ৪৫৬ নং দাগের ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। তিনি জমি বিক্রির কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটিকে বলেন, ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকলে কলেজের পাশে আমার অনেক জমি আছে। আমি ঠিক করে দিব।

২. অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ অনিয়মিত ছাত্রের বাবা জুনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মাস্টারকে অবৈধভাবে পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন।

৩. অধ্যক্ষ কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক কোহিনূর সুলতানাকে অবৈধভাবে পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী, সহকারী গ্রন্থাগারিক শিক্ষক হিসেবে গণ্য নন।

৪. অধ্যক্ষ ও সভাপতি খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কলেজের পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছাত্রাবাস ভেঙে ফেলেছেন। ওই জায়গায় কলেজের এক কর্মচারী কলাবাগান করেছেন।

৫. কলেজ ঠিকভাবে চলছে না। কলেজের শিক্ষকরা সময়মত সব ক্লাস নেন না। যার ফলে ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৯৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ২০৬ জন পাস করে।

আরও খবর

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker